বগুড়া থেকে খালেদ হাসান : বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগের স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (র্যাপিড স্যাম্পল কালেকশন টিম) স্থায়ী নিয়োগের জোরালো দাবী করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) (র্যাপিড স্যাম্পল কালেকশন টিম) হিসাবে অদ্যবধি কর্মরত আছেন।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের বেডে প্যাথলজীক্যাল পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট রোগীর বেডে পোঁছে দিয়ে আসেন।
তাদের এসব কার্যক্রম ডকুমেন্ট হিসেবে হাসপাতালে ফেসবুক সাইটে আপলোড করা আছে।
সাম্প্রতি রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে প্রথম ধাপে ১৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এই স্থায়ী নিয়োগের তালিকায় বগুড়ার ২০জনের নাম থাকার কথা থাকলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের নাম ছিলো না।
পরে তারা তাদের নিয়োগের দাবীর বিষয়টি স্মরকলিপি আকাড়ে সরকারি ডাক বিভাগের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এবং সরাসরি উপস্থিত হয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও বগুড়ার ডেপুপি সিভিল সার্জনকে অবহিত করেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগের স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (র্যাপিড স্যাম্পল কালেকশন টিম) এর আব্দুল হানিফ, জিম_হোসেন, সজল কুমার সরকার, ফুলবার আলী, মিলন্টন খন্দকার, রুপালী খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, মানবকি কারণেই তাদের স্থায়ী নিয়োগ দেয়া দরকার।
তাদের অন্যতম একজন সিনিয়র টেকনোলজিস্ট আরমান হোসেন বলেন, আমাদের সাবেক পরিচালক ব্রিঃ জেঃ ডাঃ মোঃ গোলাম রসুল এবং স্বাস্থ্য সচিব মহোদ্বয় হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, স্থায়ী নিয়োগের সুযোগ আসলে আমাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো তালিকা থেকে আমাদের নাম বাদ পড়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান করোনা ক্রান্তিকালে জীবনের ঝুকি নিয়ে কোভিট ১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা ল্যাবে পৌছে দিচ্ছেন।
আমরা জানতে পারলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়া হবে এই তালিকায় তাদের নাম অন্তভূক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন ।
Leave a Reply